আমরা বলি গৃহকর্মী, সৌদি ভাবে যৌনদাসী
সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশের মেয়েরা ফিরে আসছে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে। লাগাতার ধর্ষণ, নিপীড়ন ও বিকৃত যৌন লালসার শিকার হয়ে ফিরে আসা এই মেয়েদের অনেকেই এয়ারপোর্টে নেমেই পাগলামী অসংলগ্ন কথাবার্তা শুরু করে দিচ্ছে। অনেকে অন্ত:সত্ত্বা হয়ে ফিরে এসে আর পরিবারে ফিরে যেতে পারছে না। কারণ পরিবার তাদের আর গ্রহণ করবে না।
বাংলাদেশের মুসলমানরা প্রকৃত ইসলাম কি তা জানে না। সৌদি আরবে নারী গৃহকর্মী পাঠানোর আগে এইসব পরিবারগুলোকে আগে জানাতে হবে ইসলামে দাসীকে স্ত্রীর মত ব্যবহার করা জায়েজ। বাংলাদেশী ফেরত আসা মেয়েগুলির পেটে কুরাইশ বংশের সন্তান। কুরাইশ হচ্ছে নবীর বংশ। কাজেই নবীর বংশের এইসব বাচ্চাদের যাতে পরিবারগুলো অত্যন্ত সন্মানের সঙ্গে গ্রহণ করে সেটা বুঝানোর দায়িত্ব সরকারের। সরকার যেহেতু সৌদিদের দাসী ছহবতের যোগান দিয়েই যাবে বলে ঠিক করেছে, তাই দাসী পাঠানোর আগে গরীব এইসব পরিবারগুলোকে আগে সহি ইসলামের ট্রেনিংটাও দিয়ে দিতে হবে।
দাসী দুই প্রকারের, একটা হচ্ছে যুদ্ধে পরাজিত কাফের নারীদের যারা মুসলমানদের হাতে কব্জা হবে। দুই, বাজার থেকে দাসী কিনে আনা। আজকের যুগে দাসীদের বাজার থেকে কিনে আনা যায় না বা দাস প্রথা নেই ঠিক, তবে সৌদি আরব বাংলাদেশের মত দেশগুলো থেকে গৃহকর্মী আমদানি করে নিয়ে বাসাবাড়িতে মালিকদের কাছে এজেন্সিদের মাধ্যমে নির্দিষ্ট মেয়াদে বিক্রি করে দেয়! সৌদি পিতাপুত্র এই ক্রয়কৃত দাসীর উপর চালায় হালাল ধর্ষণ। এই ধর্ষণ শতভাগ গ্যারান্টিযুক্ত হালাল। মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের লিসান্স শাইখ মুহা: আব্দুল্লাহ আল কাফী এই বিষয়ে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘স্ত্রীদের সাথে যৌন সহবাস যেমন বৈধ, অনুরূপ মালিকানাভুক্ত দাসীদের সাথেও। সকল বিদ্বান একমত যে বিনা বিবাহে, বিনা মোহরে ও স্বাক্ষ্যে দাসীদের সাথে সহবাসে লিপ্ত হওয়া তার মালিকদের জন্যে জায়েয। এতে কারো কোন মতবিরোধ নেই’। শাইখ সাহেব নিজের মতামত এখানে চাপিয়ে দেননি। তিনি সুরা মু’মিনূন’র বাইরে কিছু বলেননি। সেখানে বলা আছে, ‘আর যারা তাদের (ব্যভিচার থেকে) যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে। তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না’ (সূরা মু’মিনূন, ৫-৬)।
মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ইসলামী স্কলার ইসলাম সম্পর্কে বেশি জানে নাকি আপনি- একটু ভেবে দেখবেন। তবে আমি কখনই বলি না অন্যের মুখে ঝাল খান। তাই নিজেই ঘেটে মিলিয়ে দেখুন কথা সত্য কিনা। যেমন তাফসীরে আহসানুল, অনুবাদ করেছেন শায়েখ আব্দুল হামিদ ফাইজী। ক্রীতদাসীদের মাসআলা: কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার সময় দাস-দাসীর রাখার প্রথা ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল। দু’টি মাধ্যমে এই প্রথা প্রচলিত ছিল। প্রথমটি হল, কোন কোন গোত্র এমন ছিল যাদের পুরুষ ও নারীকে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ক্রয়-বিক্রয় করা হত। এই ক্রীত নর-নারীকেই ক্রীতদাস ও দাসী বলা হয়। মনিবের অধিকার হত তাদের দ্বারা সর্ব প্রকার ফয়দা ও উপকার অর্জন করা। আর দ্বিতীয়টি হল, যুদ্ধে বন্দী হওয়ার মাধ্যমে। কাফেরদের বন্দী মহিলাদেরকে মুসলিম যোদ্ধাদের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়া হত এবং তারা দাসী হয়ে তাঁদের সাথে জীবন-যাপন করত। বন্দিনীদের জন্য এটাই ছিল উত্তম ব্যবস্থা। বিস্তারিত জানার জন্য দ্রষ্টব্যঃ মৌলানা সাঈদ আহমদ আকবার আবাদী রচিত বই ‘আররিক্কু ফীল ইসলাম’ (ইসলামে দাসত্বের তাৎপর্য)। মোট কথা হল, (স্বামীর বিবাহ বন্ধনে থাকা অবস্থায়) সধবা মুসলিম মহিলাদেরকে বিবাহ করা যেমন হারাম, তেমনি সধবা কাফের মহিলারাদেরকেও বিবাহ করা হারাম, তবে যদি তারা মুসলিমদের অধিকারে এসে যায়, তাহলে তারা গর্ভমুক্ত কি না এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁদের জন্য (যৌন-সংসর্গ) হালাল হবে।
সৌদি আরব থেকে এদেশের মেয়েরা কাজ করতে গিয়ে ধর্ষিতা হয়ে দলে দলে ফিরে আসছে। গত সাত মাসে ১ হাজার চারশো মেয়ে ফিরে এসেছে ধর্ষিতা হয়ে। কেউ সৌদি দুতাবাস ঘেরাও করার ঘোষণা দেয়নি। দেশে ফালানীর বাপ-ভাইদেরও দেখা যায়নি। ভারতীয় সীমান্তে একটা গুলি চললে যেখানে সুশীল সমাজে নড়েচড়ে বসে সেখানে এদেশের মেয়েদের ফ্রি গণিমতের মাল বানানোর এই প্রক্রিয়াতে কারোর কোন টু শব্দটি পর্যন্ত নেই! রোহিঙ্গাদের দুর্দশা দেখে চোখে পানি চলে আসে, ফালানী দিবস পালন করি কারণ ঘটনাগুলো ঘটেছে ভারত-মিয়ানমারে। একাত্তরে পাঞ্জাবী পাঠান আর এখন কুরাইশরা এদেশের মেয়েদের গণিমতের মাল বানাচ্ছে- আনন্দের তাই সীমা নাই!

